পৃথিবীর অমোঘ নিয়ম মেনেই নারী-পুরুষ একে অন্যের প্রেমে পড়ে। এই প্রেম কখনো পরিণতি পায়। আবার কখনো ভেঙে যায়। তবে প্রেমের সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে বিশ্বাসই হচ্ছে প্রথম কথা। সঙ্গীর প্রতি যদি আপনার বিশ্বাস না থাকে তবে কখনোই সম্পর্ক টিকবে না। মনে রাখবেন যে কোনো সম্পর্কের মূল চাবিকাঠি হচ্ছে বিশ্বাস। ভালোবাসার সম্পর্কে একে অপরের সঙ্গে বোঝাপড়া, বিশ্বাস না থাকলে সেই সম্পর্ক প্রাণহীন হয়ে পড়ে। ফলে সম্পর্কে টানাপড়েন শুরু হয়। তবে সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী।চলুন জেনে নিই সম্পর্কে টানাপড়েন সৃষ্টির কারণগুলো-
১. মিথ্যা বলা
ধরুন কোনো এক কফি শপে সহকর্মীর সঙ্গে প্রয়োজনেই বসে আছেন, অথচ ফোনে সঙ্গীকে জানালেন আপনি অফিসে। এ ধরনের মিথ্যা কথা সন্দেহ সৃষ্টি করে। সত্য যদি তিক্ত হয় তাহলেও ভালোবাসার মানুষটিকে বুঝিয়ে বলুন।
২. কথা না রাখা
কোনো অনুষ্ঠানে ভালোবাসার মানুষটি আপনাকে নিমন্ত্রণ দিয়েছেন। কিন্তু যাওয়ার কথা দিয়েও শেষ সময়ে গেলেন না। এটা খুব খারাপ অভ্যাস। অথবা ধরুন কোথাও ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন অথচ শেষ মুহূর্তে পরিকল্পনার পরিবর্তন করলেন। এসব বিষয় একে অপরের প্রতি আস্থা নষ্ট করে।
৩. বন্ধু বা সহকর্মীদের সঙ্গে বেশি আড্ডা দেওয়া
এক সঙ্গে চলতে গেলে বন্ধু কিংবা সহকর্মীদের সঙ্গে চলতেই হয়। এর মাঝে আড্ডা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু সঙ্গীকে সময় দেওয়ার চেয়ে অন্যত্র আড্ডা যদি বেশি গুরুত্ব দেন তাহলে সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
৪.ভুল স্বীকার না করা
চলার পথে আমরা সবাই ভুল করি। কেউই ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। কিন্তু কোনো ভুল করার পরও স্বীকার করে ক্ষমা না চাওয়া দায়িত্বহীনতার লক্ষণ। এমন আচরণ সম্পর্কে ফাটল তৈরি করে।
৫. মোবাইলের ব্যবহার
মোবাইলে কাউকে বার্তা পাঠাবেন, কিন্তু সঙ্গীর কাছে বসে সেটা করছেন না। বার্তাটি লিখতে সঙ্গীর পাশ থেকে উঠে অন্য জায়গায় যাওয়ার অভ্যাস খুব সহজেই যে কারো নজরে পড়বে। এমন অভ্যাস সঙ্গীর নজরে আপনার প্রতি সন্দেহের জন্ম দেয়। অনেক সময় এমনিতেই অনেকে কল কিংবা ম্যাসেজ করতে পাশে সরে যান। কিন্তু আপনার এই ধরনের অভ্যাস সঙ্গীর মনে সংশয় তৈরি করছে কি না, তা অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।